
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মঞ্চে এবার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এক মন্তব্যে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্তের করা একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে তীব্র আক্রমণ করেছে, অভিযোগ তুলেছে যে তিনি ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে যৌনকর্মীদের তুলনা করেছেন’। সংবিধানের শপথ নেওয়া এক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর মুখে এমন ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ নারীর সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের বিস্ফোরক ভিডিও পোস্ট:
তৃণমূল কংগ্রেস সুকান্ত মজুমদারের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে সরাসরি অভিযোগ করেছে যে, “মহিলারা অপমানের যোগ্য বলে ওরা মনে করে, নারীর সম্মান বলে কিছু নেই।” তৃণমূলের এই আক্রমণ অনুব্রত মণ্ডলের ‘কুকথা’র পাল্টা হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যেখানে বিজেপি এবার সুকান্তের মন্তব্যকে ঘিরে বিপাকে পড়েছে। তৃণমূলের দাবি, একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য দেশের সংবিধান ও নারী সমাজের প্রতি চরম অসম্মানজনক।
বিতর্কের মূল কারণ:
ঠিক কী প্রেক্ষাপটে সুকান্ত মজুমদার এই মন্তব্য করেছেন, তা পরিষ্কার না হলেও তৃণমূলের অভিযোগের সারমর্ম হলো, তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বোঝাতে এমন একটি উপমা ব্যবহার করেছেন যা যৌনকর্মীদের প্রতি অসম্মানজনক এবং নারীবিদ্বেষী। এই মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অপহৃত ব্যক্তির বোলপুরে দেহ উদ্ধার: চাঞ্চল্যকর মোড়, এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা নিয়ে কারসাজি?
হাওড়া/বোলপুর, ২১শে জুন, ২০২৫: হাওড়া থেকে অপহৃত নৈহাটির বাসিন্দা অনিমেষ মিত্রের দেহ বোলপুর থেকে উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন, যা এই অপহরণ ও খুনের রহস্য উন্মোচনে নতুন মোড় এনেছে।
ঘটনার সূত্রপাত ও অপহরণ:
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অভিষেক সোনকর হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা এবং নিহতের পরিচিত। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সামনে থেকে অনিমেষ মিত্রকে বাইকে তুলে অপহরণ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বাইকে দুইজনের মাঝখানে অনিমেষ বসে ছিলেন। অনিমেষ মিত্র ফোরশোর রোডের একটি বিস্কুট কারখানার অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বোলপুরে উদ্ধার দেহ, টাকার লোভে খুন?
শুক্রবার বোলপুর থেকে অনিমেষ মিত্রের গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নৈহাটির বিধায়ক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, কারখানা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টাকা লুঠের উদ্দেশ্যেই তাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।
তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ:
হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা ঘটনার তদন্তে নেমেছেন এবং ধৃত অভিষেক সোনকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই অপহরণ ও খুনের পেছনে আর কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার গভীরতা পুলিশের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। টাকা লুঠের উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে – তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।