সীমান্ত দিয়ে জাল নোট ছড়ানোর বড় ছক, বাংলায় ফের গ্রেপ্তার ২ অভিযুক্ত

বসিরহাটে জাল নোট পাচারের ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে বসিরহাট থানার চাঁপাপুকুর রোডে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ শরীফ ঢালী ও রমজান মোল্লা নামে দুজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। ধৃতদের বাড়ি বসিরহাটের সীমান্তবর্তী ইটিণ্ডা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, জাল নোটের উৎস সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, স্বরূপনগর সীমান্তে এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ।

কীভাবে ধরা পড়ল দুষ্কৃতীরা?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বসিরহাট শহরে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল একটি দুষ্কৃতী চক্র। গত কয়েক মাসে এই ধরনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁপাপুকুর রোডে তল্লাশি চালায় বসিরহাট থানার পুলিশ। এ সময় শরীফ ঢালী ও রমজান মোল্লার কাছ থেকে ৩০টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়, যার মোট মূল্য ১৫ হাজার টাকা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জাল নোট পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জাল নোট ছড়ানোর ছক?
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে জাল নোট সংগ্রহ করে বসিরহাটে ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। জাল নোটের উৎস ও এর পিছনে থাকা চক্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্ত ত্বরান্বিত করা হয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, “আমরা এই চক্রের মূল উৎস পর্যন্ত পৌঁছতে তৎপর। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।”

সীমান্তে ধৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
এদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্তে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে সবুজ হোসেন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ। সীমান্তে কর্মরত ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। বুধবার সকালে তাকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সবুজ বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিল সে।

আদালতে তোলা ও জেল হেফাজত
বুধবার সবুজ হোসেনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, জাল নোটসহ গ্রেপ্তার শরীফ ও রমজানকেও আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।

তদন্তে জোর
জাল নোট ও অবৈধ অনুপ্রবেশের এই দুটি ঘটনা সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে এই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকা থেকে জাল নোট পাচার ও অনুপ্রবেশের ঘটনা বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। আগামী দিনে এই তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর রাখছে সকলে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy