
বৃষ্টির মধ্যেই উত্তর সিকিমের পাহাড়ি পথে ঘোরার সময় ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পর্যটকদের নিয়ে একটি গাড়ি রাস্তা থেকে সোজা প্রায় ১০০০ ফুট নীচে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতের এই দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও ওড়িশার মোট ১১ জন পর্যটক ছিলেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ওড়িশা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ইতশ্রী জেনা, তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তানও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গ্যাংটক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ জন নিখোঁজ। তিস্তার প্রবল স্রোতে ডুবুরি নামিয়ে বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা, সিকিম পুলিশ এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)।
জানা গেছে, পর্যটকদের গাড়িটি বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে মুন্সিথাংয়ের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং ওড়িশার তিনটি দল মিলে গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করে ভারতীয় সেনা, সিকিম পুলিশ ও আইটিবিপি। প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে রাতভর তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখনও পাঁচজন নিখোঁজ এবং দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে গত কয়েক দিন ধরেই খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করছে। সিকিমেও চলছে প্রবল বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়েছিল। তার পরেও এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল। নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য জোরকদমে তল্লাশি অভিযান চলছে।