রায় ঘোষণার পূর্বে বিচারক অনির্বাণ দাস স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবুও সঞ্জয় রায় কিছু বলতে চেয়েছিলেন এবং বিচারক সোমবার তাকে সেই সুযোগ দেন। রায় ঘোষণার আগে শেষবারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থনে একের পর এক প্রশ্ন তোলেন সঞ্জয়।
শনিবার আদালতে সঞ্জয় প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তাঁর রুদ্রাক্ষের মালা কোথায় গেল?’ সোমবারও সেই রুদ্রাক্ষের মালাকেই হাতিয়ার করে শাস্তি এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালান তিনি। এছাড়াও তিনি দাবি করেন যে তাকে যা বলতে বলা হয়েছে, তিনি তাই বলেছেন।
এদিন আদালত কক্ষে এতটাই ভিড় ছিল যে বিচারক সঞ্জয়ের কথা শুনতে পারছিলেন না। তাই তাকে একটি মাইক দেওয়া হয়। মাইক হাতে নিয়ে তিনি আবারও দাবি করতে থাকেন যে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সই করাচ্ছে, লেখাচ্ছে, যা বলছে করছি।’ সঞ্জয়ের দাবি, তাকে বিভিন্ন জায়গায় সই করানো হয়েছে, কিন্তু কোথায় সই করানো হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
বিচারক এদিন সঞ্জয়ের পরিবারের বিষয়েও জানতে চান। সঞ্জয় জানান, তার মা বাড়িতে আছেন। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় আরও জানান যে ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেনি।