সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, চাকরিহারাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ

গত ১৫ মে বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানের সময় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর বিধাননগর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও তলব প্রক্রিয়া এখনও চলছে। বুধবার, এই ঘটনার জেরে ফের চাকরিহারা শিক্ষক অপূর্ব মাঝিকে বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগ ডেকে পাঠায়। এর আগে শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষকেও একই কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, এদিন অপূর্ব মাঝি বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দেন। গোয়েন্দা বিভাগ পুরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ড করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব মাঝিকে তাঁর নাম, ঠিকানা সহ একাধিক প্রশ্ন করা হয়। ১৫ মে সরকারি কর্মীদের আটকে রাখা সঠিক ছিল কিনা, সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া, সেদিন তাদের সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন উপস্থিত ছিল কিনা, সে বিষয়েও বিশদ জানতে চাওয়া হয়।

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও, যিনি ১৫ মে-র অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও পরে মতবিরোধের কারণে তিনি নিজের একটি পৃথক সংগঠন তৈরি করেছেন, তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ তাকে কোনো নোটিশ পাঠায়নি।

উল্লেখ্য, ১লা জুন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকার অধিকার মঞ্চের অন্যতম পরিচিত মুখ মেহেবুব মণ্ডলের বাড়ির দেওয়ালে দ্বিতীয়বারের মতো নোটিশ দেয় বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। সেদিনই মঙ্গলবার বিকেল ৪:৩০ নাগাদ তাকে বিধাননগর উত্তর থানায় তলব করা হয়েছিল। তবে, অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সে সময় মেহেবুব বাড়িতে ছিলেন না। এখনও পর্যন্ত মেহেবুব মণ্ডলকেই দ্বিতীয়বার থানায় তলব করা হয়েছে।

চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক এবং বিভিন্ন সময়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার আবেদনে যাদের নাম ছিল, পুলিশ বেছে বেছে তাদেরকেই চিহ্নিত করে ডেকে পাঠাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা এখন আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একাধিক ধারায় তাদের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশের এই লাগাতার তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তারা এখন আইনি পথে সমাধানের চেষ্টা করছেন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy