
কলকাতার বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উষ্মা প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ দপ্তর একাধিক রুটে বাসের সংখ্যা ও ট্রিপ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, সব জায়গায় সরকারি বাস পরিষেবা চালানো সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ
সম্প্রতি বিমানবন্দর, নবান্ন এবং শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের অপ্রতুলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লক্ষ্য করেন যে, যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পরিবহণ দপ্তরের পদক্ষেপ
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহণ দপ্তর একাধিক রুটে বাসের সংখ্যা ও ট্রিপ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে যেসব রুটে যাত্রীদের ভিড় বেশি, সেখানে বাসের পরিষেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সব জায়গায় সরকারি বাস পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়। যেসব এলাকায় ইতিমধ্যে ভালো বাস পরিষেবা রয়েছে, সেখানে সরকারি বাস চালানোর প্রয়োজন নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রীর বক্তব্য
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা ও ট্রিপ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে, সব জায়গায় সরকারি বাস পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়। যেখানে ইতিমধ্যে ভালো বাস পরিষেবা রয়েছে, সেখানে সরকারি বাস চালানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের লক্ষ্য হল যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করা।”
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
কলকাতার বিভিন্ন বাস স্টপে যাত্রীরা জানান, অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষ করে কর্মঘণ্টার সময়ে বিমানবন্দর, নবান্ন এবং শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যাত্রীদের একাংশের মতে, সরকারি বাসের পাশাপাশি প্রাইভেট বাসের সংখ্যাও বাড়ানো উচিত।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, বাসের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রুট চালু করার কথাও ভাবছে দপ্তর। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাসের সময়সূচি আরও নিখুঁত করার চেষ্টা চলছে।
সরকারি ও প্রাইভেট বাসের সমন্বয়
পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি ও প্রাইভেট বাস পরিষেবার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো গেলে যাত্রীদের সুবিধা বাড়বে। এতে করে যাত্রীদের অপেক্ষার সময় কমবে এবং বাসের ভিড়ও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং পরিবহণ দপ্তরের পদক্ষেপের ফলে কলকাতার বাস পরিষেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারি ও প্রাইভেট উভয় ক্ষেত্রেই বাস পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা চলছে।