
সফল ত্রিদেশীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশেষে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ান ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) আজ এই খবর নিশ্চিত করেছে। পাঁচ দিনের এই ঝটিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়া পরিদর্শন করেন, যা ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাইপ্রাসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত উপস্থিতি বাড়ানো এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির দেশগুলোর এই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন। জি-৭ দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে তার আলাপচারিতা ভারতের বৈশ্বিক প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হয়েছে।
কানাডা থেকে প্রধানমন্ত্রী ক্রোয়েশিয়া সফর করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মূলত, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বাড়ানোর উপর উভয় পক্ষই গুরুত্ব আরোপ করেছে। ক্রশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার হলে ইউরোপে ভারতের প্রবেশাধিকার আরও সহজ হবে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রতিটি দেশেই প্রধানমন্ত্রী উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ত্রিদেশীয় সফর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাবর্তনের পর এই সফরের বিস্তারিত ফল আরও পরিষ্কার হবে।