জনপ্রিয় নায়ক ও সংসদ সদস্য দেবের নাম উঠেছে গরুপাচার মামলায়। এ নিয়ে আগেও কথা বলেছেন অভিনেতা। মুখ খুললেন ফের। শনিবার তাকে ডেকেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। কলকাতায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিতে হয় অভিনেতাকে। সেখানে তাকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অভিনেতা কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। দেব বলেন, ‘দোষ না করলে ভয় কী? সিবিআই ডাকা মানেই তুমি ক্রিমিনাল নও। তারা বলেছিলেন আমার বয়ান রেকর্ড করবেন। তাই যেদিন আসতে বলেছিলেন সেদিনই হাজির হয়েছি।’
দেব আরও বলেন, ‘আমাকে অফিসাররা বলেছিলেন, আমরা ভাবিনি আপনি আসবেন! তখন আমি বলি, আমি জানি না আমাকে কেন ডাকা হয়েছে, এবার আপনাদের কাছ থেকে তা জানব। কেন ডেকেছেন সেটা তাদের ব্যাপার। তারা যা চেয়েছিলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে দিয়েও দিয়েছি।’
অভিনেতার দাবি, ‘আমি চুরি করিনি। কেউ যদি বলে দেব চুরি করেছে বা রাজনৈতিক ভাবে অনৈতিক কিছু করেছে, তাহলে আমি সাউথ সিটির বাইরে এসে বলব, আমাকে পাথর দিয়ে মারুন। আমি ছোটবেলা থেকে মানুষের পাশে থাকা শিখেছি। বাবার কাছ থেকে শিখেছি। ওটা আমার রক্তে আছে।’
দেব বলেন, ‘আমাদের দেশে সিবিআইয়ের ডাক বা নোটিশ আসাকে খুব খারাপ ভাবে নেওয়া হয়। আমাকে যখন ডাকা হয়েছিল, তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবে আমিও সবার দিকে তাকিয়েছিলাম, কে আমাকে নিয়ে কী বলছে।’
অভিনেতার দাবি, ‘হয়তো আমার আট বছরের রাজনীতি জীবনের পরিশ্রম বা ভালোবাসা, আমি একজন বিরোধী নেতাকেও আমাকে নিয়ে খারাপ বলতে দেখিনি। জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। কাউকে সিবিআই তলব করলে, নিউজ চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়, প্রাইম টাইমে ডিবেট শুরু হয়ে যায়। আমি দেখিনি, আমাকে নিয়ে কেউ একটা কুকথা বলেছেন।’
দেব বলেন, ‘আমি এই রাজনীতিটাই চাই। এই ভালো লাগা, ভালবাসার রাজনীতিটাই চাই। যত দিন এটা পাব, ততদিন রাজনীতির জগতে থাকব।’
এদিকে, একই দিনে সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির দেওয়ার কথা ছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গরুপাচার মামলায় তার নামও উঠেছে। তবে তিনি হাজিরা দেন। শুক্রবার অনুব্রত ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। শনিবার ই-মেইল করে সিবিআইকে জানিয়েছেন, তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন না।