সইফের মতো আপনিও EMERGENCY-তে পেতে পারেন স্বাস্থ্যবিমা, জেনেনিন ক্লেম পদ্ধতি?

বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা স্বাস্থ্য বিমার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণ করলো। যেকোনো মুহূর্তে মেডিকেল ইমার্জেন্সি ঘটতে পারে, আর সেই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, শেষ মুহূর্তের জটিলতা এড়াতে বিমার ক্লেইম প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগে থেকেই জেনে রাখা দরকার।

সইফ আলি খানের ক্লেইম:

সইফ আলি খানের উপর হামলার পর তার চিকিৎসার জন্য নিভা বুপা (Niva Bupa) নামক স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানির কাছে ক্লেইম করা হয়েছিল। ছুরি হামলার শিকার সইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিভা বুপার পলিসি অনুযায়ী, ৩৫.৯৫ লক্ষ টাকার ক্লেইম করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা ক্যাশলেস চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই মঞ্জুর হয়েছে। বিমা কোম্পানি জানিয়েছে, চূড়ান্ত বিল জমা দেওয়ার পর বাকি টাকাও পরিশোধ করা হবে।

ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ক্লেইম প্রক্রিয়া:

মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে ক্লেইম প্রক্রিয়া সহজ করা যেতে পারে:

ধাপ ১: জরুরি ভর্তির সময় অ্যাডভান্স ডিপোজিট লাগতে পারে। সেই ক্ষেত্রে KYC নথি হাতের কাছে রাখুন।
ধাপ ২: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমা কোম্পানি বা থার্ড-পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে (TPA) হেল্পলাইনের মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ জানান।
ধাপ ৩: রোগীর স্বাস্থ্য বিমা কার্ড এবং পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন। হাসপাতালের মাধ্যমে বিমাকারী/TPA-কে অনুরোধ পাঠান।
ধাপ ৪: পরীক্ষার রিপোর্টসহ মেডিকেল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করুন এবং নিজের রেকর্ডের জন্য সব রিপোর্ট ও ডিসচার্জ সামারির কপি রাখুন।
যদি বিমা কোম্পানি প্রি-অথরাইজেশন বা ক্যাশলেস চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর TPA-কে আসল বিল এবং নথি জমা দিয়ে রিইম্বার্সমেন্ট (Reimbursement) ক্লেইম করা যেতে পারে।

পরিকল্পিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিমা ক্লেইম প্রক্রিয়া:

ধাপ ১: বিমাকারীর নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হাসপাতাল নির্বাচন করুন এবং চিকিৎসার বিস্তারিত বিবরণ, আনুমানিক খরচ ও ভর্তির তারিখ জানান।
ধাপ ২: ভর্তির ৪৮-৭২ ঘণ্টা আগে বিমা কোম্পানি বা TPA-কে জানান এবং হাসপাতালের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠান।
ধাপ ৩: ভর্তির সময় প্রি-রিকোয়েস্টের চিঠি এবং পরিচয়পত্র জমা দিন। KYC নথিও জমা দিতে হতে পারে।
ধাপ ৪: কিছু হাসপাতালে অ্যাডভান্স ডিপোজিট প্রয়োজন হতে পারে, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়।
ধাপ ৫: নিজের রেকর্ডের জন্য পরীক্ষার রিপোর্ট ও ডিসচার্জ সামারির কপি রাখুন।
সইফ আলি খানের ঘটনা স্বাস্থ্য বিমার গুরুত্ব এবং ক্লেইম প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি উদাহরণ।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy