
নদিয়ার হরিণঘাটা ব্লকের মোল্লাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসদিয়া দাসপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম শুভেন্দু সাহা (৩৩), তিনি হাওড়ার দাসনগর এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনা ‘খুন’ নাকি ‘আত্মহত্যা’, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। হরিণঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই শুভেন্দু সাহা ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। এই কারণে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে হাওড়ার বাড়ি ছেড়ে হরিণঘাটায় নিজের বাপেরবাড়িতে থাকতেন। শুভেন্দু সাহা মাঝেমধ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্বশুরবাড়ি যেতেন বলে খবর।
রবিবার তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন এবং রাতে পরিবারের সকলের সঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করে সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তাঁকে ঘরে দেখা যায়নি। পরে সিঁড়ির ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজনই দেহ নামিয়ে প্রথমে থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভেন্দু সাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুভেন্দু সাহার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যে ব্যক্তি আগের রাতে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন, তিনি কেন হঠাৎ ‘আত্মহত্যা’ করবেন? শ্বশুরবাড়ি গেলেও সাধারণত তিনি রাতে সেখানে থাকতেন না, তাহলে গত রাতে কেন তিনি থেকে গেলেন? তবে কি তাঁকে ‘খুন’ করা হলো? এই প্রশ্নগুলোই এখন এলাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সম্পূর্ণ সত্য জানতে আরও গভীরে তদন্ত প্রয়োজন।