“শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অনেক করেছেন, তাকে সারাজীবন থাকতে দেওয়া উচিত”

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কে শুরু হয় টানাপোড়েন।

এছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে ফেরতও চেয়েছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনাকে যতদিন খুশি ততদিন ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার।

তার দাবি, হাসিনা ভারতের জন্য অনেক কিছু করেছেন, আর তাই তাকে সারাজীবন (ভারতেই) থাকতে দেওয়া উচিত। রোববার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন চান তাকে ততদিনই ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত বলে শনিবার রাতে জানিয়েছেন সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক, দেশটির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গত মাসে ঢাকায় গিয়ে সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করায় আনন্দও প্রকাশ করেন তিনি। ১৬তম অ্যাপিজে কলকাতা সাহিত্য উৎসবের ফাঁকে পিটিআইকে মণিশঙ্কর আইয়ার বলেন, এই আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিত এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির মন্ত্রী পর্যায়ের যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার।

হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কিছু করেছেন, আমি আশা করি এই বিষয়ে আমরা কখনোই দ্বিমত করব না। আমি খুশি যে, তাকে (ভারতে) আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি যতদিন তিনি চান আমাদের তাকে এই আশ্রয় দেওয়া উচিত। এমনকি যদি তাকে সারা জীবনের জন্যও রাখতে হয়, তারপরও (তাকে রেখে দেওয়া উচিত)।”

মূলত গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালানোর পর থেকে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা সেখানেই বসবাস করছেন। কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, এটা সত্য যে— বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, কিন্তু তাদের বেশিরভাগই হাসিনার সমর্থক।

তার ভাষায়, “এগুলো (হিন্দুদের ওপর আক্রমণ সম্পর্কে রিপোর্ট) সত্য কিন্তু অতিরঞ্জিত, কারণ অনেক দ্বন্দ্বই হচ্ছে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে।”

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy