
বাড়িতে কেউ ছিলেন না, আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগাল দুষ্কৃতীরা। সোনারপুর থানা এলাকার রূপনগরে এক শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। খোয়া গেছে সোনার গয়না ও নগদ লক্ষাধিক টাকা, যা গৃহকর্তা তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিলে তিলে জমিয়েছিলেন। সোমবার পরিবার বাড়ি ফেরার পর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নজরে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে সোনারপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসন্তী হাই স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষক রামশঙ্কর মণ্ডল তাঁর পরিবার নিয়ে গত ২১ বছর ধরে রূপনগরের ওই বাড়িতে বসবাস করেন। গত ১৩ জুন তাঁর পিতার মৃত্যু হওয়ায় সপরিবারে গোসাবার রাঙাবেলিয়ায় পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফলে বাড়ি ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা। সোমবার তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন মেন গেটের তালা ভাঙা। ঘরের প্রতিটি আলমারি ভাঙা এবং জিনিসপত্র চারিদিকে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমনকি, একটি জানালার গ্রিলও ভাঙা অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা নীচের তলার বাথরুমের জানালার গরাদ কেটেই ভেতরে প্রবেশ করেছে।
পরিবারের দাবি, সোনার গয়নার পাশাপাশি নগদ অনেক টাকা চুরি হয়েছে। রামশঙ্করবাবু জানিয়েছেন, এই টাকা তিনি তাঁর স্ত্রীর অপারেশনের জন্য বহু কষ্টে জমিয়েছিলেন, যা চুরির ঘটনায় তাঁদের দিশেহারা করে দিয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সোনারপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রামশঙ্করবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের বাড়িটি ঘিঞ্জি এলাকায়। চারপাশে এত বাড়িঘর থাকলেও কী ভাবে এত বড় চুরি হয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি টহল ও আলোর অভাব রয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে চোরেরা নির্বিঘ্নে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে রামশঙ্করবাবু সোনারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে stolen সম্পত্তি উদ্ধারে সক্ষম হবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।