রেশনে মিলবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ,জেনেনিন কী কী থাকবে প্যাকেটে?

এবার আর আপনাকে দিঘা যেতে হবে না! দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্র প্রসাদ পৌঁছে যাবে আপনার ঘরের দুয়ারে, রাজ্য সরকারের এক অভিনব উদ্যোগে। ২০শে জুন থেকে খাদ্য ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের যৌথ প্রচেষ্টায় রেশনের মাধ্যমে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার মানুষের কাছে এই বিশেষ প্রসাদ বিতরণ শুরু হচ্ছে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভক্তদের মনে এক নতুন আনন্দ এনে দেবে।

এক প্যাকেটে ভক্তি, স্বাদ আর স্যুভেনিয়ারের মেলবন্ধন
এই বিশেষ প্রসাদ প্যাকেটে কী থাকছে জানেন? প্রতিটি বাক্সে পাবেন ২০ গ্রাম ওজনের খাজা বা পেঁড়া এবং ৬০ গ্রাম ওজনের গজা। আর এর সঙ্গে থাকছে দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের একটি সুন্দর ছবি সম্বলিত স্যুভেনিয়ার, যা স্মারক হিসেবে রেখে দিতে পারবেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই প্যাকেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা তাদের উপার্জনে সহায়তা করবে। প্রতিটি প্যাকেটের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২০ টাকা।

আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রসাদ বিতরণ
প্রসাদ যাতে তাজা থাকে, সে জন্য ‘কোল্ড চেন’ ব্যবস্থা ব্যবহার করে তা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। দক্ষিণবঙ্গে প্রসাদ পৌঁছবে সড়কপথে, আর উত্তরবঙ্গে ব্যবহার করা হবে বিমান! এরপর ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে রেশন কার্ডধারীরা এই প্রসাদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা, বিধাননগর ও নিউটাউন বাদে বাকি সব জায়গায় এই প্রসাদ রেশন ডিলারদের মাধ্যমে ৪ঠা জুলাইয়ের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। তবে খাদ্য দফতর জানাচ্ছে, আজ, ১৭ই জুন থেকেই কিছু জায়গায় এই বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।

সোমবারও মিলবে প্রসাদ: বিশেষ ব্যবস্থা
সাধারণত সোমবার রেশন দোকান বন্ধ থাকে, কিন্তু ২৩শে জুন সোমবার হলেও সেদিন ‘দুয়ারে রেশনে’র মাধ্যমে প্রসাদ বিতরণ চলবে। এমনকি, মাসের প্রথম ও শেষ দিন, অর্থাৎ ৩০শে জুন ও ১লা জুলাইও এই বিশেষ প্রসাদ দেওয়া হবে, যা এই প্রকল্পের প্রতি সরকারের গুরুত্ব বোঝায়।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, হিডকো, খাদ্য সরবরাহ দফতর এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে। জেলাশাসকদের স্থানীয় মিষ্টির দোকানগুলোর একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে, সেখান থেকে খোয়া ক্ষীর সংগ্রহ করে স্থানীয়ভাবে গজা ও পেঁড়া তৈরি করা হবে। এতে স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ী ও কারিগররাও উপকৃত হবেন।

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “যাদের রেশন কার্ড আছে, তাঁরা রেশনের সঙ্গেই এই প্রসাদের প্যাকেট পাবেন। রেশন তুলতে এলেই দেওয়া হবে প্রসাদের প্যাকেট, বা দুয়ারে রেশনেও মিলবে।” তিনি আরও জানান, এই অভিনব উদ্যোগের ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ যেমন প্রসাদ পেয়ে আনন্দিত হবেন, তেমনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীরাও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy