যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন রবিবার (১ জুন) রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা, সিকিউরিটি সার্ভিস অফ ইউক্রেন (SBU)-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই হামলায় কমপক্ষে ৪০টি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি এই দাবি সত্যি হয়, তাহলে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি রাশিয়ার সামরিক কাঠামোর উপর সবচেয়ে বড় এবং সংবেদনশীল হামলাগুলির মধ্যে একটি হবে।
লক্ষ্য অত্যাধুনিক বোমারু বিমান:
এসবিইউ-এর দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের বাহিনী রাশিয়ান বিমানগুলিকে সফলভাবে আঘাত করেছে। এর মধ্যে Tu-95 এবং Tu-22-এর মতো অত্যাধুনিক বোমারু বিমানও অন্তর্ভুক্ত, যা রাশিয়া ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য ব্যবহার করে থাকে।
আঞ্চলিক গভর্নর ইগর কোবজেভ জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনীয় ড্রোনগুলি রাশিয়ার ইরকুটস্ক অঞ্চলের স্রেডনি বসতিতে একটি সামরিক ইউনিটে আক্রমণ করেছে। বেলারুশিয়ান সংবাদমাধ্যম NEXTA-ও মুরমানস্ক অঞ্চলের ওলেনিয়া বিমান ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণ এবং প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখা যাওয়ার খবর দিয়েছে।
কৌশলগত ঘাঁটিতে হামলা, পরমাণু অস্ত্রের শঙ্কা:
রয়টার্সের প্রতিবেদনে ড্রোন হামলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওলেনিয়া রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিমান চলাচল কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমানও রয়েছে। যদিও এই হামলার এখনও কোনো সরকারি নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি, তবে যদি এই দাবি সত্য হয়, তাহলে এটি রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আহত বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পাল্টা প্রতিশোধ?:
গত সপ্তাহেই রুশ বাহিনী ইউক্রেনের শহরগুলিতে ৩৬৭টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ২৬৬টি ড্রোন এবং ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হলেও, ইউক্রেনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরেই এই ড্রোন হামলাকে ইউক্রেনের পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা যুদ্ধকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।
