
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ায় দুটি রেল সেতু ভেঙে পড়ে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত সাতজন নিহত এবং ৭০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রুশ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাগুলোকে ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপের’ ফল বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবং সন্দেহের তীর ঘুরে যাচ্ছে ইউক্রেনের দিকে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, রবিবার ইউক্রেন সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক প্রদেশে একটি রেল সেতু আচমকা ভেঙে পড়ে। এর ফলে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি কামরা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ে। রুশ রেলওয়ে তাদের টেলিগ্রাম বার্তায় কোনো বিশেষ কারণ উল্লেখ না করলেও প্রাথমিক ভাবে ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপের’ ইঙ্গিত দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর আগে গতকাল, শনিবারও একই ভাবে রাশিয়ার ঝেলেজনোগর্স্ক জেলায় একটি মালবাহী ট্রেন সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় তা হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। এর জেরে ভাঙা সেতু থেকে মালবাহী ট্রেনটি ঝুলে পড়ে এবং চালকের কেবিনে আগুন ধরে যায়।
বিস্ফোরণের ইঙ্গিত ও ইউক্রেনের বিবৃতি:
রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স এজেন্সিকে এই দুটি ঘটনার তদন্তভার দিয়েছে মস্কো। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশিত একটি প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই রিপোর্টের পর থেকেই ইউক্রেনের দিকে সন্দেহের তীর জোরালো হচ্ছে।
যদিও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো দায় স্বীকার করা হয়নি, তবে রবিবার জেলেনস্কির সেনা তরফে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তারা জানিয়েছে, “ক্রিমিয়া যাওয়ার পথে একটি মালগাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।” এই বিবৃতিতে সরাসরি সেতু ভাঙা বা রেল লাইনচ্যুত হওয়ার মতো কোনো শব্দ ব্যবহার করা হয়নি, কিংবা এই ঘটনার দায়ও স্বীকার করা হয়নি। তবে রুশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ।
পরপর দুটি সেতু ধসে পড়া এবং বিস্ফোরণের সম্ভাবনার খবরে রাশিয়ার নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এই ঘটনাগুলো নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।