
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ধোঁয়াশা ঘেরা মন্তব্যের জেরে আমেরিকার শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নেমেছে। ওয়াল স্ট্রিটে শুরু হওয়া এই অস্থিরতার ঢেউ মঙ্গলবার ভারতীয় শেয়ার বাজারেও আছড়ে পড়েছে। বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনসেক্স প্রায় ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
গত রবিবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো এবং চিন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমরা একটি পরিবর্তনের সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছি। যা করছি, তা খুবই বড়। আমরা আমেরিকার সম্পদ পুনরুদ্ধার করছি।” তবে তাঁর এই নতুন শুল্কনীতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু না বলায় বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তার মেঘ জমতে শুরু করেছে।
ওয়াল স্ট্রিটে ধাক্কা
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর মার্কিন লগ্নিকারীদের মধ্যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার ওয়াল স্ট্রিটে বড় ধরনের পতন দেখা যায়। ন্যাসড্যাক সূচক ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে যায়, এবং ‘এস অ্যান্ড পি ৫০০’ সূচকেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস পায়। টেসলা, মেটা, অ্যামাজনের মতো নামকরা সংস্থাগুলোর শেয়ারদর কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ববাজারে প্রভাব
এই ধসের প্রভাব শুধু আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের শেয়ার বাজারেও একইভাবে পতন দেখা গেছে। ভারতে মঙ্গলবার সকালে বাজার খোলার পর সেনসেক্সে ৪০০ পয়েন্টের পতন বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর ট্রাম্পের নীতির প্রভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। একজন বিশ্লেষক বলেন, “চিন, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হলে তার প্রভাব সরবরাহ চেইন এবং বিনিয়োগের উপর পড়বে। এতে বিশ্ব অর্থনীতি আরও চাপে পড়তে পারে।”
ভবিষ্যৎ কী?
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং নীতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্টতা না থাকায় বাজারে অস্থিরতা Ascending এবং Descending-এর মাধ্যমে আপনি যে কোনো একটি বিষয় নির্ধারণ করতে পারেন। আপনি যদি কোনো বিষয় নির্ধারণ না করে থাকেন তবে ডিফল্ট হবে Ascending।
বর্তমানে বিশ্ববাজার স্থিতিশীলতার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বিনিয়োগকারী এবং অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই অনিশ্চয়তা দ্রুত সমাধান না হলে শেয়ার বাজারে আরও বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে।