
হানিমুনে গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সোনম রঘুবংশী-কে ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। যেখানে সোনমের মা-বাবা তাকে নির্দোষ দাবি করছেন, সেখানে পুলিশি তদন্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে এক ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার দিকে, যা সোনমের পরিবারও আগে থেকে জানত বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, সোনমের মা-বাবা তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা-এর সঙ্গে সম্পর্কের কথা আগে থেকেই জানতেন। তা সত্ত্বেও তারা সোনমকে রাজা রঘুবংশীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এই সময় সোনম নাকি তার পরিবারকে সতর্ক করেছিল যে, যদি রাজার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, তবে এর ফল কী হতে পারে! সোনম তার মাকে বিয়ের আগেই বলেছিল, “দেখো রাজার কী করি, তোমায় এর দায় নিতে হবে…”। সে এও জানিয়েছিল, যা ঘটবে তার জন্য তার কোনো দায় থাকবে না। এই তথ্যগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সোনমের পরিবার সম্ভবত জানত যে তাদের মেয়ে কোনো চরম পদক্ষেপ নিতে পারে।
নিহত রাজা রঘুবংশীর দাদা বিপিন পুলিশকে জানিয়েছেন, সোনমদের পারিবারিক ফার্নিচার শিটের ব্যবসায় রাজ কুশওয়াহা অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করত। সেখানেই সোনম ও রাজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সোনমের মা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। তিনি ‘সামাজিক স্তর’ বজায় রাখার জন্য সোনমকে তাদেরই সমাজের কাউকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। এরপরই রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে সোনমের বিয়ে ঠিক হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনমের মা-বাবা কল্পনাও করতে পারেননি যে তাদের মেয়ে বিয়ের পরই স্বামীকে খুন করাবে।
রাজার দাদার আরও দাবি, মেঘালয়ে রাজাকে খুন করার পর সোনম তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে একই হোটেল রুমে ছিল। এরপর রাজই সোনমকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে দুই দিন থাকার পর সোনম উত্তর প্রদেশে যায়। সেখানেই পুলিশের চাপে পড়ে সে প্রথমে বাড়িতে ফোন করে এবং পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সোনম রঘুবংশীর জটিল চরিত্র এবং তার পরিবারের ভূমিকা নিয়ে নতুন নতুন প্রশ্ন উঠে আসছে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আর কী রহস্য লুকিয়ে আছে, তা জানতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।