
ভারতে করোনার নতুন ঢেউয়ের ফলে দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মন্ত্রীদের জন্য একটি নতুন এবং কঠোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে টিভি সূত্রে খবর অনুযায়ী, এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে মন্ত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কোনো মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
দেশজুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও উদ্বেগ:
দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭,১২১-এ নিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে দেশে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশার কথা, এই সময়ের মধ্যে ৮,৫৭৩ জন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (২,২২৩)। এরপরই রয়েছে গুজরাট (১,২২৩), দিল্লি (৭৫৭) এবং মহারাষ্ট্র (৬১৫)। উদ্বেগজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
JN.1 সাব-ভেরিয়েন্ট: উপসর্গ ও সতর্কতা:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিডের নতুন JN.1 সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছু সাধারণ লক্ষণের কথা জানিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
গলা ব্যথা
ঘুমের সমস্যা
সর্দি
কাশি
মাথাব্যথা
দুর্বলতা বা ক্লান্তি
পেশীতে ব্যথা
চিকিৎসকদের মতে, “কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা হল সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এমন কিছু লক্ষণ। তবে এগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণও হতে পারে, তাই আগে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।” বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা দেখা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই নতুন নির্দেশিকা দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সুরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি নির্দেশ করে যে, সরকার নতুন করে বাড়তে থাকা সংক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কড়া পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সাধারণ মানুষের জন্যও এটি একটি বার্তা যে, পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।