
কর্ণাটকের তুমকুরুতে এক অদ্ভুত চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে মহিলাদের অন্তর্বাস চুরির অভিযোগে এক মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের এই অদ্ভুত আসক্তির কথা শুনে চোখ কপালে উঠেছে সকলের।
ঘটনার সূত্রপাত:
তুমকুরু শহরের একাধিক মহিলা ও ছাত্রী পুলিশে অভিযোগ জানান যে, তাদের বাড়ি ও হস্টেল থেকে অন্তর্বাস চুরি হচ্ছে। চোর দামি জিনিসপত্র ছেড়ে শুধুমাত্র মহিলাদের অন্তর্বাস নিয়ে পালাচ্ছে। এই ঘটনা প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে গোপন রাখা হলেও, পরে হোস্টেলের ছাত্রীরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।
পুলিশের তদন্ত:
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। ফুটেজে দেখা যায়, হোস্টেলের কাছে পার্কিং এলাকায় একটি সন্দেহজনক স্কুটার রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, একজন যুবক কিছু চুরি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এই ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্ত করে।
অভিযুক্তের পরিচয়:
অভিযুক্ত যুবক ২৫ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি একজন মেধাবী ছাত্র এবং তাঁর বাবা-মা দুজনেই শিক্ষক। পুলিশি জেরায় তিনি মহিলাদের অন্তর্বাস চুরির ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তিনি নীল ছবিতে আসক্ত এবং পড়াশোনা ছাড়া সারাদিন নীল ছবি দেখেই তাঁর সময় কাটে। এই আসক্তি থেকেই তিনি মহিলাদের অন্তর্বাস চুরি করতেন।
জামিন ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও, কিছুক্ষণ পরেই তিনি জামিন পেয়ে যান। কারণ, ভুক্তভোগীরা সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা থেকে বিরত ছিলেন। অভিযুক্তের এই অদ্ভুত আসক্তি ও কর্মকাণ্ডে তাঁর পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সমাজে আলোচনা:
এই ঘটনা স্থানীয় সমাজে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন মেধাবী ছাত্র এমন অদ্ভুত আসক্তির শিকার হলেন। মনোবিদরা এই ধরনের আসক্তির পেছনে মানসিক চাপ ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকে দায়ী করছেন।
পুলিশের সতর্কতা:
পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং এই ধরনের ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।