রবিবার সকালেই ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মাণিক সাহা। সকাল সাড়ে ১১টার সময় শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান রয়েছে। এমনটাই জানালেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে হঠাৎ করে কেন ইস্তফা দিলেন তিনি? তা নিয়ে অবশ্যই স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে চাননি বিপ্লব দেব।
সকাল সাড়ে ১১ টায় শপথ
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিপ্লব দেব বলেন, সর্বসম্মতিক্রমেই মাণিক সাহা’র নাম ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অনুমোদন করা হয়েছে। তবে নাম ঘোষণার পরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, সমস্যা থাকবে। আর তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নেওয়া হবে। আগামিদিনে তাঁর কাজগুলি মাণিকবাবুই এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও এদিন আশাপ্রকাশ করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল সাড়ে ১১ টার সময়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাণিকবাবু শপথ নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিসভাতেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত
শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নয়, মন্ত্রিসভাতেও রদবদল আসতে পারে। এদিন এমনটাই ইঙ্গিত বিপ্লব দেবের। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবটাই আজ বলা যাবে না। কিছু জিনিস আগামীকাল দেখা যাবে বলে মন্তব্য তাঁদের।
সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা
বছর ঘুরতেই ত্রিপুরাতে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকার আগেই এভাবে বিপ্লব দেবের পদত্যাগ চাপ বাড়াতে পারে। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের একাংশের। এই প্রসঙ্গে যদিও বিপ্লব দেব বলেন, ২৩ এর নির্বাচনের সামনে রেখে সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব পেয়েছি। ১৮ তে যদি বিজেপি সরকারে আসে। আগামী ২৩ এও আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
পুরো শক্তি দিয়ে কর্মীদের নামার বার্তা
২৩ এর আগে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা বিপ্লব দেবের। তিনি বলেন, একেবারে গোটা রাজ্য চষে বেড়াব। সবার কাছে যাওয়ার বার্তা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এমনকি এই প্রসঙ্গে ১৮ এর উল্লেখও তুলে ধরেন তিনি।
তবে কেন মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন?
এই প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে কিছু বলতে চাননি বিপ্লব দেব। তাঁর দাবি, বিজেপিতে এভাবেই হয় যা হয়। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে কিছু হয় না। তবে শাহ-নাড্ডা যা দায়িত্ব দেবে সেটাই নেব বলে দাবি বিপ্লব দেবের।