
মার্কিন আগ্রাসন এবং ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতে উত্তর লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং এর এসকর্ট জাহাজগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রবিবার এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযানে নৌ ইউনিট, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ইয়েমেনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগেও হুথি বাহিনী মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হুথি মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ইয়েমেনের নেতৃত্ব, জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী তাদের ধর্মীয়, নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব হিসেবে ফিলিস্তিনি জাতিকে রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যতক্ষণ না পর্যন্ত গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হয় এবং সেখানকার অবরোধ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। ওয়াফা নিউজের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং নিহতদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে এই ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছে। এই ধর্মঘটের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে হুথিদের হামলা এবং গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে ধর্মঘটের ডাক—এই দুটি ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।