
দেশের কিশোরীদের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল ও সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে চালু হচ্ছে এক নতুন পাইলট স্কিম – ‘নব্য যোজনা’। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জয়ন্ত চৌধুরী এবং নারী ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর।
‘নব্য’ শুধুমাত্র একটি প্রকল্প নয়, এটি কিশোরীদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। এর মূল লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক পাশ করা কিশোরী মেয়েদের জন্য অপ্রচলিত এবং আধুনিক ক্ষেত্রে দক্ষতা-ভিত্তিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই প্রশিক্ষণে গতানুগতিক কাজের বাইরেও সময়োপযোগী বিষয় যেমন – ড্রোন চালানো, মোবাইল ফোন মেরামত, এবং সোলার প্যানেল ইনস্টল করার মতো দক্ষতা গড়ে তোলা হবে। এই ধরনের প্রশিক্ষণ মেয়েদের ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
২৭টি জেলায় পাইলট প্রকল্প, ব্যাপক লক্ষ্যের পূর্বাভাস:
প্রাথমিকভাবে এই পাইলট প্রকল্পটি ভারতের ১৯টি রাজ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মোট ২৭টি জেলায় বাস্তবায়িত হবে। এর মাধ্যমে সরকার কিশোরী মেয়েদের সামনে নতুন সুযোগ এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিতে চাইছে, যা তাদের শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও শক্তিশালী করে তুলবে।
নারীনেতৃত্বাধীন উন্নয়নের অঙ্গীকার:
‘নব্য’ স্কিমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার কেবল আর্থিক স্বাবলম্বীই নয়, কিশোরীদের মানসিক ও সামাজিকভাবেও আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চায়। কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণের ফলে মেয়েরা ভবিষ্যতে শুধু কর্মী হিসেবেই নয়, উদ্যোক্তা হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এটি নারীনেতৃত্বাধীন উন্নয়নের একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে সরকার আশা করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে। ‘নব্য’ মেয়েদের জন্য একটি ‘নয়া দিগন্ত’ উন্মোচন করবে বলেই প্রত্যাশা। সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়ার এই প্রয়াস যদি সফল হয়, তবে ভবিষ্যতে গোটা দেশে এটি আরও বিস্তৃতভাবে রূপায়ণ করা হবে, যা দেশের নারী সমাজের প্রভূত উন্নতি ঘটাবে।