
একটি সাধারণ গেট পাস। তাতে বড় করে লেখা – “আমরা যোগ্য”। বলা হচ্ছে, এটাই নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই ‘যোগ্যতা’র সংজ্ঞা ঠিক কে ঠিক করল?
জানা গেছে, সোমবারের সেই আলোচিত বৈঠকের জন্য মোট ৭,১৪৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে ‘যোগ্য’ বলে গেট পাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই পাস কারা দিল, কী ভিত্তিতে দিল—তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের তরফে কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও আসেনি।
এই পটভূমিতে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন,”যারা ইন্ডোরে গিয়েছে তারা প্রকৃত মেধা অনুযায়ী যোগ্য নন। এদের অনেকেই ভোট লুটের কাজে যুক্ত ছিলেন। ডায়মন্ড হারবারে ভোট করানো হয়েছে টেন্টেড শিক্ষক দিয়ে। আমি RTI করেছি সাত লক্ষ ভোট নিয়ে, এখনও উত্তর পাইনি। এবার বিষয়টি আদালতে তুলব।”শুভেন্দুর এই মন্তব্যে নতুন করে ‘যোগ্য বনাম অযোগ্য’ বিভাজন ঘনীভূত হয়েছে।
একদিকে, চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীরা রাস্তায় সোচ্চার। অন্যদিকে, এমন বহু চাকরিহারা রয়েছেন যারা ‘অযোগ্যদের’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আদালতের রায়ের পর থেকেই এই দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়েছে।অনেকেরই প্রশ্ন—সরকার যখন যোগ্য-অযোগ্য বিচার করতে পারছে না, তখন কীভাবে ‘আমরা যোগ্য’ লেখা গেট পাস বিলি হচ্ছে?
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ‘যোগ্য’দেরই ডাক, আর তার বাইরে রেখে দেওয়া হচ্ছে বাকিদের—এই প্রক্রিয়া নিয়েই এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।বিরোধীদের অভিযোগ, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাজন তৈরি করছে।সরকারের তরফে যদিও এখনও এ নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আসেনি।এই ‘আমরা যোগ্য’ বিতর্ক এখন কেবল প্রশাসনিক নয়, এক বড় রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে চব্বিশের আগে।