
হরিয়ানার উদীয়মান মডেল শীতলের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে তার প্রেমিক সুনীলকে গ্রেপ্তার করেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (সিআইএ)। ইসরানার বাসিন্দা সুনীল তদন্তকারীদের কাছে শীতলকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে এক ভয়াবহ চিত্র: বিবাহিত জেনে যাওয়ায় শীতল ও সুনীলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনই এই নৃশংস ঘটনার মূল কারণ।
হরিয়ানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, শীতল ও সুনীলের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সুনীলই শীতলকে খুন করে এবং এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দুর্ঘটনার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। সে নিজেই শীতলের গাড়ি একটি খালে ফেলে দেয়। ওই তদন্তকারী আরও বলেন, “প্রথমে শীতলের গলা কেটে খুন করে সুনীল। তারপর গাড়িটি খালে ফেলে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল এটি একটি দুর্ঘটনা বলে প্রমাণ করা।”
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শীতল জানতে পেরেছিলেন যে তার প্রেমিক সুনীল বিবাহিত। এই বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তাদের দুজনের মধ্যে তীব্র অশান্তি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিবাদের জেরেই সুনীল শীতলকে হত্যার মতো চরম পথ বেছে নেয়।
জানা গেছে, শীতল হরিয়ানার সঙ্গীত জগতে কাজ করতেন। গত ১৪ জুন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার দিন শীতল তার প্রেমিক সুনীলের সঙ্গেই গাড়িতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ ছিল, পানিপথের সৎকরতার কলোনিতে শীতল তার পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন। ১৪ তারিখ আহার গ্রামে একটি ফটোশ্যুটের জন্য গিয়েছিলেন এবং সেদিনই তার ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আর ফেরেননি।
অবশেষে সোমবার সকালে শীতলের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং পার্ক হাসপাতালের কাছ থেকে সুনীলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুনীল তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এই ঘটনা হরিয়ানার স্থানীয় মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।