
সময়! এ এমন এক চলমান স্রোত, যা স্থির হয় না, দ্বিধাগ্রস্ত হয় না। কিন্তু সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, তা এই চিরন্তন ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। একটি ঘড়ি, অথচ তার নাকি দু’দিক থেকে দু’রকম সময় দেখাচ্ছে! এই অদ্ভুত ঘটনা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন নেটিজেনরা, আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে হাসির রোল আর মজার মজার মন্তব্যের বন্যা।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ভোপালের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়েছে একটি সুবিশাল ঘড়ি। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও, যখনই এটিকে দু’দিক থেকে ক্যামেরাবন্দী করা হচ্ছে, তখনই বেরিয়ে আসছে তার রহস্যময় দিকটি। এক পাশ থেকে দেখলে ঘড়ির কাঁটা একটি নির্দিষ্ট সময় নির্দেশ করছে, অথচ অন্য পাশ থেকে তাকালে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি সময়। যেন একই ঘড়ি দুটি ভিন্ন টাইম জোনে বাস করছে!
এই ঘড়ির ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে যায়। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, “একই ঘড়িতে কীভাবে দু’রকম সময় বাজতে পারে?” কেউ কেউ একে ‘সময় বিভ্রাট’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ একে ‘দৃষ্টি বিভ্রম’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
“এটা কি টাইম ট্রাভেলের প্রথম ধাপ?” – এক কৌতুকপ্রিয় ইউজার লিখেছেন।
“ভোপালের ঘড়ি যদি দু’রকম সময় দেখায়, তাহলে কি আমরাও দু’রকম সময় পাব?” – আরেকজন মজা করে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন।
“হয়তো এটা আমাদের শেখাচ্ছে যে জীবনের প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গিই আলাদা।” – একজন দার্শনিক ভঙ্গিতে মন্তব্য করেছেন।
“ঘড়ির মেকার কি ডাবল শিফটে কাজ করেছেন?” – এই রকম নানা মজার মন্তব্য ঘুরছে নেটদুনিয়ায়।
কারিগরি ত্রুটি নাকি অপটিক্যাল ইলিউশন?
এই অদ্ভুত ঘটনার পেছনে কারিগরি ত্রুটি না কি নিছকই একটি অপটিক্যাল ইলিউশন লুকিয়ে আছে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। হতে পারে ঘড়ির দুটি মুখ ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অথবা আলোর প্রতিফলন বা ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলের কারণে এমন বিভ্রম তৈরি হচ্ছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ভোপালের এই ঘড়িটি নিঃসন্দেহে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে এবং সময়ের ধারণাকে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করেছে।
এই রহস্যময় ঘড়ির পেছনের আসল সত্য উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত ভোপালের এই “দু’মুখো” ঘড়ি যে নেটপাড়ায় হাসির খোরাক যোগাবে, তা বলাই বাহুল্য।