
বলিউডের অন্যতম চর্চিত দম্পতি ছিলেন ঋষি কাপুর ও নীতু সিং। তাঁদের দাম্পত্য কলহ এবং ঋষির কারণে নীতুর উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের অবসান—এসবই বলিউড পাড়ায় বহুল আলোচিত বিষয়। এমনকি তাঁদের ছেলে রণবীর কাপুরও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শৈশবে বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখে তাঁর মানসিক যন্ত্রণার কথা বলেছেন। তবে কাপুর খানদানের অন্দরমহলে কান পাতলে আজও যে এক লোমহর্ষক অধ্যায়ের কথা শোনা যায়, তা অনেকেই হয়তো জানেন না। গুঞ্জন বলছে, ঋষি-নীতুর সংসারে অশান্তি এতটাই চরমে পৌঁছেছিল যে, এক সময় বিষ খেয়েছিলেন নীতু!
১৯৮০: বিবাহ ও অশান্তির সূত্রপাত
১৯৮০ সালে ঋষি কাপুর ও নীতু সিং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন নীতুর ক্যারিয়ার গ্রাফ ছিল ঊর্ধ্বমুখী, আর ঋষি ছিলেন প্রযোজকদের নয়নের মণি। কিন্তু বিয়ের এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শোনা যায়, ঋষির চাপেই নাকি নীতু সিনেমা জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, মদ্যপ ঋষির কারণে পরিবারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। ঠিক এই সময়ই ঘটে এক চরম অঘটন।
গর্ভে সন্তান, মুখে বিষ: কাপুর পরিবারের চাঞ্চল্যকর গুঞ্জন
বলিউড গুঞ্জন অনুযায়ী, বিয়ের এক বছর পার হতে না হতেই নীতু নাকি সন্তানসম্ভবা হন। আর ঠিক তখনই ঋষির সঙ্গে তাঁর অশান্তি চরমে ওঠে। ওই সময় ঋষির নাম ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য নায়িকাদের সঙ্গে জড়ানো শুরু হয়। এমনকি, এমন গুজবও রটেছিল যে, ঋষি নাকি নীতুকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন। এসব নিয়ে কাপুর পরিবারে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়।
গুঞ্জন বলছে, এই চরম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে নীতু যখন কাপুর বংশের সন্তানকে গর্ভে ধারণ করছিলেন, তখনই তিনি বিষ পান করেন! তবে ভাগ্যক্রমে, বিষের ডোজ কম হওয়ায় এবং বিষটি খুব মারাত্মক না হওয়ায় সে যাত্রায় নীতু বেঁচে যান। পরবর্তীতে ঋষি কাপুর নাকি নীতুর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। কিন্তু কাপুর পরিবারের অভ্যন্তরীণ অশান্তি নিয়ে যখনই কোনো আলোচনা ওঠে, নীতুর এই চাঞ্চল্যকর কাণ্ডটি বারবার আলোচনায় ফিরে আসে।
ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের ভালোবাসার গল্প যেমন বলিউডে কিংবদন্তী, তেমনই তাঁদের দাম্পত্যের এই অন্ধকার দিকটি আজও অনেককে অবাক করে।