পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ এবং সিনেটের সদস্যদের বেতন ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন হতে চলেছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান জাতীয় পরিষদ সদস্যদের মাসিক বেতন প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার রুপি থেকে ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি জাতীয় পরিষদ এবং সিনেটে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐক্যমতে পৌঁছানো হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সিনেটের চেয়ারম্যানদের বেতন প্রায় ১৫ লাখ রুপি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্যরা অনেকদিন ধরে এই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের মতে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে বর্তমান বেতন দিয়ে দৈনন্দিন খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন। সংসদ সদস্যরা দাবি করেছেন, তাদের বেতন পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের সমপর্যায়ে আনা উচিত।
এর আগে, পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদও সদস্যদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মন্ত্রী মুজতবা শুজাউর রহমান বেতন বৃদ্ধির বিল উত্থাপন করেন এবং সামান্য বিরোধিতার পর তা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়।
এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এবং বর্ধিত ব্যয়সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।