
গোর্খা টেরিটোরিয়াল প্রশাসন (GTA) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচার ফের ফিরে এলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। রাজ্য সরকারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও, প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নির্দেশে এই মামলা বিচারপতি বসুর এজলাসেই চলবে।
মামলার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, যখন স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার এবং বিনয় তামাংয়ের নাম উঠে আসে। এছাড়াও, রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগের শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর, রাজ্য সরকার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ বেঞ্চে যায়, তবে সেখানেও ব্যর্থ হয়।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে, তবে সিবিআইকেও রিপোর্ট দিতে হবে। রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, যেখানে সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
এরপর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মামলার অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিচার থেকে সরে দাঁড়ান। তবে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে পুনরায় এই মামলা তাঁর এজলাসে ফিরে আসে।
এই মামলার ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে বিচারপতি বসুর পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। গোর্খা টেরিটোরিয়াল প্রশাসনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রকৃত সত্য উদঘাটন কতদূর সম্ভব হবে, সেটাই দেখার বিষয়।