
২০২৫ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে ১৪ই মার্চ, হোলির দিন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এটি শুরু হবে সকাল ৯:২৯ মিনিটে এবং শেষ হবে দুপুর ৩:২৯ মিনিটে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, এই চন্দ্রগ্রহণটি সিংহ রাশি এবং উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রে ঘটবে। এই সময় চন্দ্রের ওপর শনি ও সূর্যের দৃষ্টি থাকবে। তবে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—হোলির আনন্দে কি এই চন্দ্রগ্রহণ কোনও বাধা সৃষ্টি করবে? আসুন, বিস্তারিত জানা যাক।
ভারতে দৃশ্যমান হবে না চন্দ্রগ্রহণ
এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না। এটি একটি “উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ” (Penumbral Lunar Eclipse), যা ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর, অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ এবং এশিয়া-আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে। ভারতে এটি দৃশ্যমান না হওয়ায় এর সুচক কাল (Sutak Kaal) এখানে প্রযোজ্য হবে না। ফলে কোনও ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানতে হবে না।
সুচক কাল প্রযোজ্য নয়
সাধারণত চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে সুচক কাল শুরু হয়, যখন উপাসনা, খাওয়া-দাওয়া এবং মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু যেহেতু এটি ভারতে দৃশ্যমান নয় এবং একটি উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ, তাই সুচক কালের কোনও প্রভাব পড়বে না। ফলে ভারতবাসীদের কোনও নিয়ম-কানুন মেনে চলার প্রয়োজন নেই।
হোলির উৎসবে কোনও বাধা নেই
এই উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ হোলির শুভতা বা আনন্দে কোনও প্রভাব ফেলবে না। মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে, পূজা-পাঠ অব্যাহত থাকবে। এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও কোনও বিশেষ সতর্কতা বা বিধিনিষেধ পালনের প্রয়োজন নেই। হোলির উৎসব পূর্ণ উৎসাহে উদযাপিত হবে।
চন্দ্রগ্রহণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জ্যোতিষ শাস্ত্রে চন্দ্রকে মন ও আবেগের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চাঁদের পরিবর্তন মানুষের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও, চাঁদ পৃথিবীর জলস্তর এবং জোয়ার-ভাটার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। চন্দ্রগ্রহণের সময় আবেগের সামান্য ওঠানামা স্বাভাবিক হলেও, এই উপচ্ছায়া গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
কী করবেন, কী করবেন না?
কোনও ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানতে হবে না।
পূজা-পাঠ ও অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখা যাবে।
খাবার ও জল গ্রহণে কোনও নিষেধ নেই।
গর্ভবতী মহিলারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
হোলির আনন্দ অটুট
১৪ই মার্চ হোলির দিন ঘটতে চলা এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতের জন্য কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। হোলির রঙে মেতে উঠতে কোনও বাধা থাকবে না। তবে, যারা জ্যোতিষে বিশ্বাসী, তারা গ্রহণ শেষে গঙ্গা জল ছিটিয়ে নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে পারেন। এই দিনটি সম্পূর্ণভাবে আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে কাটবে, চন্দ্রগ্রহণের কোনও ছায়া এর ওপর পড়বে না।