
বাণিজ্যে লক্ষ্মী বসে আছেন, এ কথা বলেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। তাঁর কথা মেনে আজকের যুগে অনেকেই উদ্যোগী হয়ে স্টার্টআপ শুরু করছেন। কিন্তু অনেকেরই মনে হয়, ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রয়োজন অনেক টাকা।
ভুল ধারণা! বরং এমন কিছু ব্যবসা আছে, যেখানে নামমাত্র লগ্নি করেও মোটা আয় করা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এমন স্টার্টআপের ধারণাগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে এই প্রতিবেদন।
1. অ্যাকাউন্টিং ও বুক কিপিং:
মাঝারি মাপের অনেক ব্যবসায়ীই অ্যাকাউন্টিং ও বুক কিপিং পরিষেবার প্রয়োজন হয়। এই বিষয়ে ধারণা থাকলে আপনি শুরু করতে পারেন ক্লায়েন্ট নির্ভর এই ব্যবসা। প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরে বসেই করা যাবে এই কাজ। পরে ক্লায়েন্ট সংখ্যা বাড়লে অফিস খোলার পরিকল্পনা করতে পারেন।
2. সোশাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েশন:
গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সোশাল মিডিয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েশন। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে আরও নানা ধরনের ব্যবসা করা যাচ্ছে। যা বিনা লগ্নিিতেই শুরু করার রয়েছে সুযোগ। তবে এই ব্যবসায় সাফল্য নির্ভর করবে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের যোগ্যতার উপর।
3. অনলাইনে ডিজিটাল কোর্স বিক্রি:
অনলাইনে ডিজিটাল কোর্স বিক্রির ব্যবসাতেও রয়েছে বিপুল লাভের সম্ভাবনা। এই ব্যবসায় নামার ক্ষেত্রে ছোটখাটো লগ্নিির প্রয়োজন হবে। যিনি স্টার্ট আপে নামছেন, তাঁকে কিনতে হবে ক্যামেরা-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। বর্তমানের প্রতিযোগিতার বাজারে এটি বেশ লাভজনক।
4. ফ্রিল্যান্স লেখালেখি:
যাঁরা লেখালেখি করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য নিখরচায় ব্যবসা শুরুর সবচেয়ে ভালো জায়গা হল ফ্রিল্যান্স রাইটিং। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন জগতেও কাজ করতে পারবেন তাঁরা। ডিজিটাল ফ্রিল্যান্স রাইটিংয়ের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা দামি অ্যানড্রয়েড ফোনের প্রয়োজন হবে তাঁদের।
5. ওয়েব ডিজাইনিং:
ফ্রিল্যান্স লেখালিখির বাইরে ওয়েব ডিজাইনিংকেও বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন তরুণ-তরুণীরা। এদেশের বহু ছোট-খাটো ফার্মের ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। তাঁদের জন্য ওয়েব ডিজাইন করে মাসে ভালো টাকা রোজগার করার সুযোগ রয়েছে।
মনে রাখবেন, যেকোনো ব্যবসায় সফল হতে হলে পরিশ্রম, ধৈর্য্য এবং দক্ষতার প্রয়োজন। উপরের ধারণাগুলো কেবলমাত্র আপনাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য। নিজের আগ্রহ, দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।