
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কর্মফল, কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের কারক গ্রহ শনি এবার তার চলার পথ বদলাচ্ছে। আগামী ১৩ জুলাই, ২০২৫, ভোর ৭টা ২৪ মিনিটে শনি তার বক্রি গতি শুরু করবে, যা চলবে টানা ১৩৮ দিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত। বর্তমানে মীন রাশিতে অবস্থানরত শনির এই উল্টো যাত্রা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষীরা।
সাধারণত, শনির বক্রি অবস্থাকে অত্যন্ত শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ধীর গতির এই গ্রহ যখন বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে, তখন তার প্রভাবে ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামগ্রিক ভাগ্যেও ওঠাপড়া দেখা যায়। মীন রাশিতে অবস্থান করলেও, শনি এই সময় মীন থেকে মেষ পর্যন্ত বিস্তৃত রাশির ওপর তার প্রভাব বিস্তার করবে।
তবে, সব রাশির ওপর এর প্রভাব একরকম হবে না। জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, এই বক্রি শনি সবচেয়ে বেশি শুভ ফল বয়ে আনবে কর্কট, মকর এবং কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে। এই তিন রাশির মানুষদের জীবনে এক ধরনের উল্লম্ফন বা অগ্রগতি দেখা যেতে পারে।
কোন রাশির ভাগ্যে কী?
কর্কট রাশি:
কর্কট রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টি হতে পারে বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের সূচনা। এতদিন ধরে যে কাজগুলো বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল, সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারিবারিক শান্তি ও আনন্দ বৃদ্ধি পাবে এবং উপার্জনেও সুখবর আসতে পারে। ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে মুনাফার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, এবং আইনি জটিলতা থেকেও মিলতে পারে স্বস্তি। তবে, পিতার শারীরিক অবস্থার প্রতি বাড়তি নজর রাখা জরুরি।
মকর রাশি:
মকর রাশির জাতক-জাতিকারা এই সময়ে আর্থিকভাবে মজবুত হওয়ার দারুণ সুযোগ পাবেন। নতুন রোজগারের রাস্তা খুলে যেতে পারে। মানসিকভাবে ধর্মীয় ভাবনায় আকৃষ্ট হতে পারেন এবং দূরে কোথাও ভ্রমণেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ভাই-বোন বা বন্ধুদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এই সময়কে আদর্শ হিসেবে ধরা যেতে পারে।
কুম্ভ রাশি:
কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত আশাপ্রদ হতে চলেছে। দীর্ঘ সময় ধরে যে কাজগুলো থমকে ছিল, এবার সেগুলিতে গতি আসবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা যাবে এবং মামলা-মোকদ্দমায় জয় পেতে পারেন। শরীর সুস্থ থাকবে এবং মনও প্রফুল্ল থাকবে। নতুন কোনও প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা থাকলে এই সময়টিকে কাজে লাগানো উচিত।
বক্রি শনির এই সময়টি উল্লিখিত তিনটি রাশির জন্য এক ধরনের আশীর্বাদ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এই সময়ে সততা এবং ধৈর্য বজায় রাখাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা।
(দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রচলিত ধারণার উপর ভিত্তি করে লিখিত। এর সত্যতা প্রকাশক বা সম্পাদক দ্বারা নিশ্চিত করা হয় না।)