বিশেষ: মনে থাকে দারুণ জেদ, বদলা নিয়েই ছাড়েন এই জন্মতারিখে জন্মানো মানুষরা?

মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনে জন্মতারিখের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরেই আলোচনা চলে আসছে। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট জন্মতারিখে জন্ম নেওয়া মানুষদের মধ্যে কি প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব বেশি থাকে? সংখ্যাতত্ত্ব বা নিউমেরোলজি তেমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে। বিশেষ করে ৮, ৯, ১৬, ১৭ এবং ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারীরা এই তালিকায় পড়েন বলে দাবি করা হচ্ছে।

শনির প্রভাবে ৮ ও ১৭: দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রতিশোধ
যারা ৮ এবং ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা শনি গ্রহের প্রভাবে পরিচালিত হন। এদের মধ্যে দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বেশি থাকে। অন্যায় বা অবিচার হলে এরা সহজে মেনে নিতে পারেন না। এদের প্রতিশোধের আগুন ধীরে ধীরে জ্বলে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে এরা সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিশোধ নেন, যা এদের চরিত্রের এক শক্তিশালী দিক। এঁদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশোধের প্রবণতা বিশেষভাবে চোখে পড়ে।

মঙ্গলের শাসনে ৯ ও ১৮: দ্রুত ও তীব্র প্রতিক্রিয়া
৯ এবং ১৮ সংখ্যাটি মঙ্গল গ্রহের প্রভাবে থাকে। এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা স্বভাবতই আবেগপ্রবণ এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত দৃঢ় হন। এরা সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অপমান বা অন্যায় সহজে ভুলতে পারেন না। শত্রুর ক্ষতি করতে এরা দ্বিধা করেন না এবং প্রতিশোধের ক্ষেত্রে এদের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকে না। এদের প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে দ্রুত ও তীব্র হয়।

কেতু ও শনির দ্বৈত প্রভাবে ১৬ ও ২৬: জটিল বিশ্লেষণ ও সুপ্ত প্রতিহিংসা
১৬ এবং ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা কেতু ও শনি গ্রহের সম্মিলিত প্রভাবে থাকেন। এদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা অত্যন্ত গভীর। প্রতিশোধ নিতে এরা সময় নিলেও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে পারেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা এরা মনে পুষে রাখেন এবং সঠিক সময়ে তার জবাব দেন। এঁদের ব্যক্তিত্ব বেশ জটিল প্রকৃতির হয়, যেখানে সুপ্ত প্রতিহিংসা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়।

কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই প্রবণতা?
নিউমেরোলজি অনুসারে, এই ধরনের প্রবণতা কমানোর জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ধ্যানের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। নিজের আবেগ ও চিন্তার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে প্রতিহিংসার মনোভাবও কমে আসে। নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

তবে মনে রাখা দরকার, প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব স্বতন্ত্র। জন্মতারিখ শুধুমাত্র একটি সাধারণ বিশ্লেষণ পদ্ধতি। জীবনে কীভাবে নিজের আবেগ সামলাবেন, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব মানসিকতা এবং তার সিদ্ধান্তের উপর।

(দ্রষ্টব্য: রাশি, জ্যোতিষ, ধর্ম সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি লোকমতভিত্তিক। প্রকাশক-সম্পাদক এগুলির সত্যতা নিশ্চিত করে না।)*

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy