চেয়েছিলেন বিশ্বের সেরা মদ উৎপাদন করতে, হয়ে গেলেন নিঃস্ব। সময়টা ১৯৮১ সাল। সে সময় বিলিয়নিয়ার ও টিভি মোগল জন ক্লাজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্যাট্রিসিয়া। আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন জন ক্লাজ। সেই সময় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের মালিক তিনি। ১৯৯০ সালে এ দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে আমেরিকার সবচেয়ে ধনী ডিভোর্সিদের একজনে পরিণত হন প্যাট্রিসিয়া।
জন ওয়ের্নার ক্লাজ ব্যক্তিজীবনে চারটি বিয়ে করেছিলেন এই ব্যবসায়ী ভদ্রলোক। তার তৃতীয় স্ত্রীই হলেন প্যাট্রিসিয়া। জন ক্লাজের সঙ্গে নয় বছরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন প্যাট্রিসিয়া। এই বিয়েই তাকে আলবেমারলে কাউন্টিতে নিয়ে আসে।
এখানে ৪৫টি কক্ষবিশিষ্ট এই এস্টেটে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা পার্টি করার সুযোগ পেতেন। ওয়ের্নারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জীবনের গল্প পাল্টাতে থাকে প্যাট্রিসিয়ার। নতুন স্বামীর সঙ্গে ১৯৯৯ সালে সেখানে ‘ক্লাজ এস্টেট ওয়াইনারি’ খোলেন প্যাট্রিসিয়া। তিনি বিশ্বের সেরা ভিন্টেজ মদ বানানোর এক উদ্যোগ নিয়েছিরেন। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য প্রচুর টাকা দরকার হয়েছিল। সেই সময় ৬৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেন প্যাট্রিসিয়া।
এই তার পতনের গল্প শুরু। কারণ সময় গড়িয়ে গেলেও তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ঐ সময় এস্টেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই এস্টেট কিনে নেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা এখন ট্রাম্প ওয়াইনারি নামে পরিচিত।
নিজেকে দেউলিয়া থেকে বাঁচাতে তিলে তিলে জমানো সব গয়না এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিলাম করতে হয়েছিল। ২০১১ সালে ট্রাম্প ভাইনইয়ার্ডটি কিনে নেন এবং প্যাট্রিসিয়াকে একটি চাকরির প্রস্তাব করেন। তবে সে চাকরিতেও তিনি টিকে থাকতে পারেননি।