কানাডার দাবানলের কারণে অস্বস্তিতে নিউইয়র্ক। দাবানলের ধোঁয়া ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তীব্র ক্ষতি হচ্ছে সেখানকার পরিবেশের। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত শহর নিউইয়র্কের অবস্থা এখন দিল্লীর চেয়েও খারাপ। সেখানকার বায়ুতে দূষণের পরিমাণ দেখলে যে কেউ রীতিমতো চমকে উঠতে বাধ্য। দেখা গেছে, আমেরিকান শহরটির বাতাস ধীরে ধীরে হলুদ ও কমলা রঙের হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি ইউটিউবে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিউইয়র্ক শহরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সেখানের বাতাসের রং যা দেখা যাচ্ছে, তা আঁতকে ওঠার মতোই। মনে এই প্রশ্নও আসতে পারে, কী করে এই পরিবেশে মানুষে বেঁচে আছে।
ইতোমধ্যেই শহর প্রশাসনের তরফে জারি হয়েছে একাধিক সতর্কবার্তা। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, খুব প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরোতে। যদি একান্তই বেরোতে হয়, তাহলে ভালো মানের মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। বাড়িতে থাকাকালীন একাধিক নিয়ম মেনে চলতেও নির্দেশ দিয়েছে শহর প্রশাসন। বলা হয়েছে, জানালা বন্ধ করে ঘুমোনোর কথা।
সম্প্রতি কানাডার একটি বিস্তীর্ণ এলাকার বনাঞ্চলে আগুন লেগেছে। প্রায় ৪০০টি এলাকা জুড়ে লাগা সেই আগুনই বিষিয়ে দিচ্ছে চারপাশের বাতাস। আর সেই দাবানলের জের নিউইয়র্ক শহরে এসে পড়েছে। আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে শহরের উত্তর পশ্চিম দিক ও হ্রদের অঞ্চল থেকে। ভয়াবহ মাত্রায় বায়ুদূষণের কারণে দেখা যাচ্ছে না ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। এমনকি বেশ কিছু এলাকায় আকাশ দেখাও সম্ভব হচ্ছে না। ছবিতে ফিলটার দিলে ঠিক যেমন পাল্টে যায়, ছবির রং, তেমনই পাল্টে যাচ্ছে শহরের চেহারা। উধাও হয়েছে বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি।
নাগরিকদের এয়ার কোয়ালিটি ওয়ার্নিং দিয়ে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস। এদিকে বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ইতোমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। এই দুই বয়সের নাগরিকদের সাবধানে থাকার নিদানও দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত দূষণ থেকে ফুসফুসের জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ছে দূষণের জেরে।