“বিরোধীরা টিভির পর্দায়, উৎসবে কেউ নেই”-দোলে ভ্রাতৃত্বের জয়গান পার্থ ভৌমিকের কণ্ঠে

দোল উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজকের দিনটি পালিত হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। এই উৎসবের অংশ হিসেবে নৈহাটি পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত হল বসন্ত উৎসব। আর এই আনন্দঘন পরিবেশে খোল বাজিয়ে সকলের সঙ্গে পা মিলিয়ে মেতে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পার্থ ভৌমিক।

আজ সকালে নৈহাটির স্বপ্নবীথি পার্কের সামনে থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরী। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। রঙিন পোশাক, গান আর আবিরের মধ্য দিয়ে এই প্রভাতফেরী নৈহাটি পুরসভার সামনে এসে পৌঁছয়। এই উৎসবমুখর মিছিলে সকলের সঙ্গে হেঁটে চললেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। খোল বাজাতে বাজাতে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে বসন্তের আনন্দে মেতে ওঠেন। তাঁর এই খোশ মেজাজ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার দৃশ্য উৎসবে আরও প্রাণ সঞ্চার করেছে।

নৈহাটির বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরই দোল উৎসব এখানে বিশেষভাবে পালিত হয়। তবে এবার সাংসদের উপস্থিতি ও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। এক বাসিন্দা বলেন, “পার্থদা আমাদের সঙ্গে এভাবে মিশে গিয়ে উৎসব করছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগছে। আমাদের উৎসব আরও রঙিন হয়ে উঠেছে।”

পার্থ ভৌমিক নিজে জানান, “দোল বা বসন্ত উৎসব আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দিনে সবাইকে একসঙ্গে আনন্দ করতে দেখে আমারও মন ভরে যায়। নৈহাটির মানুষের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, এই উৎসব শুধু রঙের খেলা নয়, এটি একতা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক।

নৈহাটি পুরসভার এই আয়োজনে শুধু প্রভাতফেরীই নয়, সারাদিন ধরে চলবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নৃত্য আর আবির খেলার মধ্য দিয়ে বসন্তের আগমনকে স্বাগত জানাচ্ছেন এলাকার মানুষ। দোল উৎসবের এই রঙিন পরিবেশে সাংসদ পার্থ ভৌমিকের উৎসাহী অংশগ্রহণ নৈহাটির বাসিন্দাদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই নৈহাটিতেও দোল উৎসবের এই আনন্দ সব বয়সের মানুষকে একসঙ্গে এনে দিয়েছে। বসন্তের এই রঙিন দিনে সকলে মিলে গান গেয়ে, রঙ মেখে আর আনন্দ ভাগ করে নিয়ে উৎসবকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছেন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy