
বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তির আবহেই সেখানে তৃণমূল নেতা ও স্থানীয় কাউন্সিলর সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতি ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে সরব হতেই বিতর্কের আবহে এবার সতীর্থ সব্যসাচীর পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
সব্যসাচীর পদক্ষেপ এবং বিতর্ক:
বৃহস্পতিবার দুপুরে সব্যসাচী দত্ত যখন আন্দোলনস্থলে যান, তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে অভিযোগ ওঠে যে সব্যসাচীর অনুগামীরা আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও হেনস্থার শিকার হন বলে জানা যায়। এই ঘটনা নিয়ে পদ্ম নেতারা অর্থাৎ বিজেপি নেতৃত্ব তীব্র তোপ দাগছেন রাজ্য সরকারের দিকে।
ফিরহাদের ব্যাখ্যা ও সমর্থন:
এই পরিস্থিতিতে সব্যসাচীর পাশে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, সব্যসাচী ওই এলাকার কাউন্সিলর হিসেবেই সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, লাগাতার অবরোধের জেরে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছিল। সেই সমস্যা জানতে পেরেই সব্যসাচী সেখানে যান এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। ফিরহাদ প্রশ্ন তোলেন, স্থানীয় মানুষের অসুবিধা হচ্ছে দেখে কাউন্সিলর চুপ করে বসে থাকবেন কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াবেন না? তাঁদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন না?
সাংবাদিকদের হেনস্থা প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য:
অন্যদিকে, সাংবাদিকদের হেনস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদের সুর ছিল বেশ গরম। খানিক ক্ষোভের সঙ্গেই তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিকদের হেনস্থা করে না। বরং সাংবাদিকরা রাজনৈতিক নেতা এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে হেনস্থা করে থাকে। ভুল তথ্য দিয়ে বারবার হেনস্থা করে।”