
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিরল প্রজাতির আহত গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের পুকুর পাশ থেকে এই নিশাচর প্রাণীটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন গবেষণা বিভাগের দুই কর্মী এবং একজন গবেষক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেটিকে বনদফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন গবেষক এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দু’জন গবেষণাগারের সহায়ককর্মী এই গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করেন। প্রাণীটি জখম অবস্থায় থাকায় তাকে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়, যার মধ্যে স্যালাইন দেওয়া এবং ক্ষতস্থানে মলম ও ব্যান্ডেজ লাগানো ছিল।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাব ইনচার্জ পিয়ালী দত্ত বণিক জানান, “প্রাণীটিকে উদ্ধার করার পর দেখা যায় ওর জখম রয়েছে। আমাদের তিন সহকর্মী ওর প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর পরই আমরা বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দফতরের কর্মীদের হাতে ওই প্রাণীটিকে তুলে দিয়েছি।”
গন্ধগোকুল হলো নিশাচর একটি প্রাণী, যা মূলত পোকামাকড়, ছোট পাখি বা পাখির ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। এদের বাস মূলত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। কলকাতা শহরের বিভিন্ন গাছেও এই প্রাণীকে দেখা যায়।
বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুলটির পায়ের একটি হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কুকুরের আক্রমণে এটি আহত হতে পারে। বর্তমানে প্রাণীটিকে স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে এবং চিকিৎসকরা সেটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ক্ষতস্থানগুলি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হলে তার পায়ের চিকিৎসা করা হবে। সুস্থ হয়ে উঠলে প্রাণীটিকে সল্টলেকে বনদফতরের নির্ধারিত স্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে।
শহরের বুকে এমন বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার এবং তার সুরক্ষার জন্য তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ নিঃসন্দেহে এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ।