বাংলাদেশে আবারও উন্মুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার তীব্র শিখা। গতকাল ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি নিয়ে অবস্থিত তার প্রাক্তন বাসভবনে একদল মৌলবাদী হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা স্লোগান দিয়েছিল “নারা-এ-তকবীর” এবং প্রথমে বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির প্রাচীর ভাঙা হয়, এরপর সেখানে আগুন লাগানো হয়।
এই হামলার পর আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, শুধু বঙ্গবন্ধুর বাসভবন নয়, গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মৌলবাদীদের উত্থান Bangladesh-এ নতুন আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের অন্দরেই আওয়ামী লীগের শক্তি আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে, যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মৌলবাদীরা এমন হামলা চালাচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভের কারণ হলো আওয়ামী লীগের পুনরায় সংগঠিত হওয়া এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষার ইচ্ছা। এমনকি, এ মাসে আওয়ামী লীগের কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র লীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেন। তিনি দাবি করেছেন, “বাংলাদেশে এখন একটি উগ্র মৌলবাদী সরকার তৈরি হয়েছে, যারা জনগণের কথা ভাবছে না। তাদের লক্ষ্য জনগণের রায়ে নয়, মৌলবাদী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা।”
সাদ্দামের অভিযোগ, “মৌলবাদীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে পরিচালনা করতে চাইছে। এজন্যই তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলতে চাইছে। তারা জানে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি যদি বাংলাদেশে থাকে, তবে দেশের জনগণ তাদের নীতি কখনও মেনে নেবে না।”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন অতীতের তুলনায় আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশকে আরো অস্থির করে তুলতে পারে।