গত ২১ ডিসেম্বর ফ্রান্সের বিমানবন্দরে আটকে পড়া রোমানিয়ার বিমানে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয়র মধ্যে ২৭ জনকে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে অনেকেই শাহরুখ খানের নতুন ফিল্ম ‘ডাঙ্কি’র সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ফ্রান্সের প্রশাসন প্রথমে বিমানে মানব পাচারের সন্দেহে আটকে দেয়। পরে বিমানটিকে আইনি পন্থায় মুক্তি দেওয়া হয়। তবে ২৭ জন যাত্রীকে ফ্রান্সে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় চেয়েছিলেন। তাদের এবার মুক্তি দিয়েছে ফ্রান্স।
জানা গিয়েছে, ২৭ জন যাত্রীকে ‘ফরমাল গ্রাউন্ড’ এ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, তারা ফ্রান্সের পরিসীমায় ‘অনিয়মিত’ অবস্থাতে থাকলেও তারা মুক্ত। তবে তাদের মধ্যে ৫ জনকে ফ্রান্সে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস নিয়ে চলে যায়।
রিপোর্ট বলছে, আমিরশাহিতে কর্মরত ৩০৩ জন ভারতীয়কে নিকারাগুয়ার বিমানে চাপানো হয়েছিল, তাদের আমেরিকা বা কানাডায় পাচার করা হচ্ছিল বলে সন্দেহ। এদিকে, ফ্রান্সে ওই মামলা যায় কোর্টে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ বলছে, পুলিশের প্রাধানের তরফে এই বিষয়টি যে সময়সীমার মধ্যে বিচারপতিকে জানানোর কথা ছিল, তা করা হয়নি। এমনই একাধিক ক্ষেত্রকে সামনে রেখে ওই ২৭ ভারতীয়কে রেহাই দেওয়া হয়।
প্যারিস থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শ্যালস-ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে ওই বিমানটি আটকে ছিল। তবে জানা গিয়েছে, বিমানটি আটক অবস্থাতেও বিমানের যাত্রীদের খেয়াল রাখা হয় বিমানবন্দরে। শেষে ফ্রান্সের আইনি পন্থায় মুক্তি পায় ওই বিমান।
রোমানিয়ার বিমানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ঘটনাটি একটি বিতর্কিত ঘটনা। মানব পাচারের অভিযোগে আটকে পড়া বিমানে থাকা ভারতীয়দের অনেকেই শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় চেয়েছিলেন। তাদের এবার মুক্তি দিয়েছে ফ্রান্স। তবে এই ঘটনাটি ফ্রান্সে মানব পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।