বম্বে হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে ২০২৩ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি সংশোধনীকে বাতিল করে দিয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুয়া খবর এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য একটি ‘ফ্যাক্ট চেক ইউনিট’ গঠনের ক্ষমতা দাবি করেছিল। কিন্তু হাইকোর্ট এই বিধানকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে বাক স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে মনে করেছে।
কেন এই রায় গুরুত্বপূর্ণ?
বাক স্বাধীনতা: এই রায় বাক স্বাধীনতার অধিকারকে সুরক্ষিত করেছে। এটি নিশ্চিত করেছে যে সরকার কোনো সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে এবং না যাবে তা নির্ধারণ করতে পারবে না।
সরকারের ক্ষমতা: এই রায় সরকারের ক্ষমতার উপর একটি সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। এটি নিশ্চিত করেছে যে সরকার গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারবে না।
ডিজিটাল স্বাধীনতা: এই রায় ডিজিটাল স্বাধীনতার জন্য একটি জয় হিসাবে দেখা যেতে পারে। এটি নিশ্চিত করেছে যে নাগরিকরা তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে।
কী ঘটেছিল?
স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা এবং অন্যান্য সংগঠন এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল। তাদের দাবি ছিল যে এই সংশোধনী সরকারকে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দেবে।
হাইকোর্টের রায়:
হাইকোর্ট এই আবেদন গ্রহণ করেছে এবং সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। হাইকোর্ট বলেছে যে এই সংশোধনী বাক স্বাধীনতা এবং সাম্যের অধিকারের লঙ্ঘন করে।
ভবিষ্যতে কী হবে?
এই রায়ের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সংশোধনীতে পরিবর্তন আনতে হবে। এটি সরকার এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করতে পারে।