ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার দীর্ঘদিন পর ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন। তার আগে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে, যেখানে শ্রেয়স আইয়ার সাফল্যের আসল অর্থ ব্যাখ্যা করছেন।
ভিডিওতে শ্রেয়স আইয়ার বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাটা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। সত্যি বলতে, আমি সাফল্যের পিছনে দৌড়াই না। আমি একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করি, যা আমাকে সাফল্যের কাছে নিয়ে যায়।” তিনি আরও জানান, নিজের আত্মবিশ্বাসের উপর ভরসা রেখে কাজ করতে ভালোবাসেন, এবং কোন ব্যর্থতা বা জয় তাকে তার লক্ষ্য থেকে সরে যেতে বাধা দেয় না।
শ্রেয়স বলেন, “আমার কাছে সাফল্যের মানে শুধু জয় নয়, বরং নিজের পরিকল্পনা ও বিশ্বাসের সাথে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া। চ্যাম্পিয়ন আমি নিজেই। আমি সব সময় মনে করি, নিজেকে নিজের হাতেই সাহায্য করতে হবে।”
গত বছর, জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও, শ্রেয়স আইয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে, আইপিএল এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি জেতার পর আবারও ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালে আমি একাধিক ট্রফি জিততে পারার জন্য কৃতজ্ঞ। এই সময়টাতে অনেক কিছু শিখেছি, কখনও পরাজিত হয়েছি, কখনও জয়ী। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হল, আমি সব সময় মাটিতে পা রেখে চলি এবং নম্র থাকি।”
শ্রেয়স আইয়ার নিজের যোগ্যতা নিয়ে কখনো সন্দেহ করেন না। তিনি বলেন, “আমি কখনো নিজের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি না। আমি বিশ্বাস করি, যখনই নিজের যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করি, তখন সেটা আমার আত্মবিশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অনেক সময় ব্যর্থ মানুষ তাদের স্কিল বা টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কিন্তু আমি মনে করি, নিজের কাজটা করতে থাকা উচিত।”
শেষে, আইয়ার জানান, “বর্তমানে থাকতে ভালোবাসি। এখন কী করছো সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই সিরিজে প্রতিটি ম্যাচ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চাইছি। ভারতের জার্সি গায়ে চাপানো সব সময় একটি শান্তি দেয় এবং আমি সব সময় দেশের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”
ভারতীয় দলের সঙ্গে শ্রেয়স আইয়ারের প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশিতভাবে দলের শক্তি বাড়াবে, এবং তার অভিজ্ঞতা ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির পথে আরও একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।