“প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ পুতিন!”- জেনেনিন বিশেষ বার্তায় কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পুতিনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে।

পুতিন বলেন, ‘‘প্রথমেই আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, ইউক্রেন সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবার জন্য। এছাড়াও, চিনের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে অনেক সময় ও শ্রম দিয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোটা বিশ্ব কার্যত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়লেও ভারত তার কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে, যা পুতিনের এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতিনের এই মন্তব্য ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য এবং বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান প্রভাবেরই ইঙ্গিত দেয়।

পুতিনের বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নাম। এই নেতারা ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে পুতিন উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ভারত নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের এই ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

পুতিনের এই বক্তব্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য সমাধানের পথে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে পুতিনের এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, রাশিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভারত শুধু নিরপেক্ষ অবস্থানই বজায় রাখেনি, বরং এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। পুতিনের কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে ভারতের এই কূটনৈতিক সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে পুতিনের এই বক্তব্য বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন সকলের চোখ রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে। ভারতের মতো দেশগুলির ভূমিকা এই প্রক্রিয়ায় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy