প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! দিল্লির পথে রওনা, জল্পনা তুঙ্গে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বিশেষ নৈশভোজের আমন্ত্রণে দিল্লি যাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আজ, মঙ্গলবার (১০ জুন) তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এই নৈশভোজে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের কৌশল এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে দেশের সামরিক সক্ষমতা বিভিন্ন দেশে তুলে ধরেছেন, এমন সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এই প্রতিনিধি দলগুলোর অধিকাংশই বর্তমানে নির্বাচিত সাংসদ।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে একটি ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এই অভিযানকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করা হয়েছিল। ভারতীয় সেনার এই সফল অপারেশনের পর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের সন্ত্রাসবাদ দমন উদ্যোগের কথা তুলে ধরার জন্য সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল সফর করে। এই প্রতিনিধিদলগুলোর অন্যতম সদস্য ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের সদস্যরা, বিশেষত জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝার নেতৃত্বে, এশিয়ার পাঁচটি দেশ – জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর করেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য ভারতের উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরা। তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, বিশেষ করে কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গি হামলা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর এই নৈশভোজকে ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে ভারতের ভবিষ্যৎ কৌশল, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ দমন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠক ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এবং সামরিক কৌশলকে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকই নন, পশ্চিমবঙ্গের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাও। তার আন্তর্জাতিক সফর ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কৌশলকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি কেবল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকেই সম্মান জানাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের ভাবমূর্তিকেও শক্তিশালী করছে। ভারত, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার, সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রশ্নে অত্যন্ত সক্রিয়। এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের সন্ত্রাসবাদ দমন কৌশলকে আরও শক্তিশালী করা হবে, যা দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

Related Posts

© 2025 News - WordPress Theme by WPEnjoy