
ফুটবল মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে সৌজন্য ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সংস্কৃতি বহু পুরনো। সম্প্রতি আইএসএল উইনার্স শিল্ড জয়ের পর মোহনবাগান ক্লাবের তরফে মিষ্টির হাঁড়ি পৌঁছে গেল প্রতিবেশী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে। এই সৌজন্য বিনিময়ে ফুটবলপ্রেমীদের মনে আবারও জেগেছে দুই ক্লাবের মধ্যেকার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কের কথা।
মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলে মোহনবাগান
মঙ্গলবার মোহনবাগান ক্লাবের এক প্রতিনিধি সবুজ-মেরুন রঙের হাঁড়িতে মিষ্টি নিয়ে পৌঁছান ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। হাঁড়িতে লেখা ছিল মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্তের নাম। এই সৌজন্য বিনিময়ে দুই ক্লাবের মধ্যে সুন্দর সম্পর্কেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
এই সৌজন্য অবশ্য ‘ভাইস-ভার্সা’। এর আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব শিল্ড জেতার পর মোহনবাগান ক্লাবে মিষ্টি পাঠিয়েছিল। এবার মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের পর সেই সৌজন্য ফিরিয়ে দিল সবুজ-মেরুন ক্যাম্প।
মোহনবাগানের শিল্ড জয় উদযাপন
মোহনবাগান ক্লাব গত শনিবার আইএসএল উইনার্স শিল্ড জিতে নেয়। এই জয়ের আনন্দে সোমবার ক্লাব প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যদিও অধিনায়ক শুভাশিস বসু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যরা পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুও।
ভোটের হাওয়া ও শিল্ড জয়ের আনন্দ
মোহনবাগান ক্লাবে শিল্ড জয়ের আনন্দের মধ্যেই চলছে ভোটের প্রস্তুতি। শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষই ক্লাবের শিল্ড জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছেন। তবে গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার পর লিগ শিল্ড জয়ের প্রস্তুতিতে মন দিয়েছে মোহনবাগান। ১৮ মার্চ থেকে আইএসএল কাপ জয়ের প্রস্তুতি শুরু করবে হোসে মোলিনার দল।
জাতীয় দলে মোহনবাগানের সাত ফুটবলার
মোহনবাগান ক্লাবের সাত ভারতীয় ফুটবলার জাতীয় দলের শিবিরে যোগ দিয়েছেন। আসন্ন মলদ্বীপ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য কোচ মানোলো মার্কুয়েজের অধীনে শুরু হয়েছে ভারতীয় দলের প্রস্তুতি। অবসর ভেঙে সুনীল ছেত্রীকে জাতীয় দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, কোচ মানোলো জানিয়েছেন, ‘‘চলতি আইএসএলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন সুনীল। তাই স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
সৌজন্যের বার্তা
মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে এই সৌজন্য বিনিময় ফুটবলপ্রেমীদের মনে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মাঠের বাইরে দুই ক্লাবের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক ও সৌজন্য বিনিময়ের এই সংস্কৃতি ফুটবল বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ।