প্রকাশে এল শ্বেতা খানের আরও কীর্তি, কি হয়েছিল কুলু-মানালিতে? বড় অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের

পানিহাটির এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পর্নোগ্রাফি চক্রে নাম জড়ানো শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন নির্যাতিতার মা। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর মেয়েকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শ্বেতা খানের কাছে কীভাবে টাকা আসত, সে বিষয়েও তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে।

বর্তমানে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা। জানা গেছে, তাঁর গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। নির্যাতিতার মা জানান, শ্বেতার দুই বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানের দেখভালের জন্য তাঁর মেয়েকে কুলু-মানালি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শ্বেতা তাঁর মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, কুলু-মানালি যাওয়ার পথে ট্রেন দেরিতে পৌঁছানোর কারণেও তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়। এমনকি মানালিতে বরফে খেলতে গিয়ে ছোট বাচ্চাটির চোট লাগলেও ওই যুবতীকে মারধর করা হয়।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি হলো, শ্বেতা খান নাকি শুধুমাত্র একটি ফোন করলেই বাড়িতে টাকা পেয়ে যেতেন। কারা এই টাকা পাঠাতো, তা তাঁর মেয়ে বলতে না পারলেও, ফোন করলেই টাকা পৌঁছে যেত বলে দাবি নির্যাতিতার মায়ের। এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে – শ্বেতা কাদের ফোন করতেন এবং কারা তাঁকে টাকা পাঠাতো?

এই নির্যাতিতার হাত ধরেই শ্বেতা খানের পর্নোগ্রাফি ব্যবসার কুকীর্তি ক্রমশ জনসমক্ষে এসেছে। জানা গেছে, মা শ্বেতা এবং তাঁর ছেলে আরিয়ান এই পর্নোগ্রাফি ব্যবসা চালাত। বর্তমানে দুজনেই পলাতক। মনে করা হচ্ছে, তারা বিদেশে পালিয়ে থাকতে পারে। এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy