
একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে আবারও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে তাকে ফের তলবের নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। রবিবার সকাল ১১টায় অনুব্রতকে বোলপুর থানায় হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে কুকথা বলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। এই কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই অডিওর সত্যতা bangla.aajtak.in যাচাই করেনি।
এই বিতর্কের জেরেই শুক্রবার দুপুরে অনুব্রতকে বোলপুর SDPO অফিসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও অনুব্রত হাজিরা দেননি। তার বদলে তার ৭ জন আইনজীবী SDPO অফিসে উপস্থিত হন।
বিতর্ক জোরালো হতেই শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল নেতৃত্ব অনুব্রতকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই অনুব্রত একটি চিঠিতে ক্ষমা চেয়ে লেখেন, “আমার ওই কথাগুলো বলা উচিত হয়নি। আমি দুঃখিত।”
তবে তার এই ক্ষমাপ্রার্থনাতেও বিতর্ক থামেনি। আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪টি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে।
এই ঘটনায় বিরোধীরা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কান ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে ঢোকাতে হবে।” একই দাবিতে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও।
এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অনুব্রত মণ্ডলকে পুলিশকে হুমকি দিতে দেখা গেছে। গরু পাচার মামলায় তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। গত বছর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন এই তৃণমূল নেতা।
পুলিশের এই দ্বিতীয় তলবের পর অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দেবেন কিনা, এবং এই ঘটনা তার রাজনৈতিক জীবনে কী প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।