
ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর বাড়ির রান্নাঘর থেকে এক পরিচারকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পরিচারক ও গাড়িচালকের মধ্যে বচসার জেরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত গাড়িচালককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া পরিচারকের দেহে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে প্রাক্তন ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে, যিনি ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের এক কিংবদন্তি। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গাড়িচালকের সঙ্গে পরিচারকের কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি রান্নাঘরে পড়ে ছিল এবং গায়ে একাধিক ছুরির আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাড়িচালক ও পরিচারকের মধ্যে সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার তা চরমে পৌঁছে এই মর্মান্তিক ঘটনায় রূপ নেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এলাকায় শোক ও উত্তেজনা
পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়দের মধ্যে শোক ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের এই কিংবদন্তির বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখনও এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
তদন্তে পুলিশ
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িচালকের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার পেছনের সঠিক কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনা কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের পরবর্তী অগ্রগতির দিকে নজর রয়েছে সকলের।