পাকিস্তানের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। কারণ দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানির ক্ষেত্রে এখনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি।
এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান এলএনজি লিমিটেড তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার জুলাইয়ের একটি টেন্ডার বাতিল করেছে।
জানা গেছে, চলতি মাসে টানা তিনবার পাকিস্তান এলএনজি আমদানির চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। জ্বালানি আমদানিতে অদক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় এরই মধ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি দেশটিতে শীততাপ যন্ত্রের ব্যবহারও বেড়েছে। এতে অধিক জ্বালানির প্রয়োজন হচ্ছে।
এলএনজির আমদানির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাকারিয়া আলি শাহ বলেন, আমরা বিকল্প কৌশলের চিন্তা ভাবনা করছি। পাকিস্তানে বর্তমানে কোনো জ্বালানি ঘাটতি নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানের সরকার জ্বালানির সংরক্ষণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। দেশটি এরই মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের কাজের সময় কমিয়েছে। তাছাড়া করাচিসহ অন্যান্য শহরের শপিংমল ও কারখানা খোলা রাখার সময়ও কমানো হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমাতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন।