ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দাবি অনুযায়ী, একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বাংলাদেশগামী একটি বিমানে বিস্ফোরক থাকার হুমকিবার্তা পাঠানো হয়েছিল। বুধবার ডিএমপি এক সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এদিন ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বোমা হামলার হুমকি (বোম্ব থ্রেট) মেসেজ আসে। মেসেজে দাবি করা হয়, রোম থেকে ঢাকায় আসা ‘বিমান বাংলাদেশ’-এর (বিজি-৫৩৬) একটি বিমানে ৩৪ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক রয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরই ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ (সিটিটিসি)-এর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ক্যানাইন ইউনিট যৌথভাবে অভিযান চালায়।
বিমানে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি: বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি
তবে, বিমানে তল্লাশি চালিয়ে কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইতালির রোম থেকে বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটি ছেড়ে আসে এবং বুধবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
অবতরণের পর খুঁটিয়ে পরীক্ষা:
বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অবতরণের ঠিক আগেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হুমকির বিষয়টি তাদের জানায়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) বিমানটি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপরই বিমানটিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানো হয়। যাত্রীদের লাগেজ ও ব্যাগপত্রও পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে বিমানটিকে ‘ক্লিয়ারেন্স’ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিমানে কোনো বিস্ফোরক নেই বলে নিশ্চিত করা হয়। ‘ক্লিয়ারেন্স’ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই বিমানের যাত্রীরা ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন।
তদন্ত চলছে:
ডিএমপি জানিয়েছে, হুমকি বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ডিএমপি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। খবরে জানা যায়, বিমানটিতে ২৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন।