
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এই হামলার নেপথ্যে থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের মদতদাতারা কল্পনাতীত কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে।
বিহারের মধুবনীতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন যে, যারা ভারতের আত্মার উপর আঘাত হানার স্পর্ধা দেখাচ্ছে, তাদের ভারত কোনোভাবেই রেয়াত করবে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে।”
২২শে এপ্রিল শান্ত দুপুরে বৈসারান তৃণভূমিতে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘ভারতের আত্মার উপর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “আজ বিহারের পবিত্র মাটি থেকে আমি সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী ও তাদের মদতদাতাকে চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আমরা তাদের ধাওয়া করব। সন্ত্রাসবাদ কখনও ভারতের চেতনাকে ভাঙতে পারবে না।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং এই হত্যাকাণ্ডের শিকার নিরীহ প্রাণগুলির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ভারত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। তিনি আরও জানান, এই হামলার শাস্তির মাত্রা এতটাই ভয়াবহ হবে যা সন্ত্রাসীরা কখনও কল্পনাও করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন, এই সংকল্পে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ এবং যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, তারাও সবাই ভারতের সঙ্গে রয়েছে। তিনি পহেলগাঁওয়ে রক্তপাত ঘটানো সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সমর্থকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শাস্তি হবে অত্যন্ত কঠোর ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা এই সন্ত্রাসবাদীরা কখনও চিন্তাও করেনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও ‘বিহারের মাটি’ থেকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এই কড়া বার্তাটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।